অ্যান্টি করোনা স্প্রেয়ারের উদ্ভাবক ও ট্যাসলকের কর্ণধার রাদবী রেজা বলেন, ‘জীবাণুনাশক এ ডিভাইসটি বাসা, অফিস, বাজার বা মসজিদের প্রবেশ মূখে বা বাহিরের পথে স্থাপন করা যাবে।’
‘এর সামনে দিয়ে যে কেউ ঢুকলে বা বের হলে ডিভাইসটিতে থাকা সেন্সরের মাধ্যমে জীবাণুনাশক ছিটাবে। যতক্ষণ মানুষটি যন্ত্রটির মধ্যে থাকবে ততক্ষণ স্প্রেয়ারটি জীবাণুনাশক (ব্লিচ বা স্যানিটাইজার) ছিটাতে থাকবে,’ যোগ করেন তিনি।
ডিভাইসটি চালু বা বন্ধ করার কোন ঝামেলা নেই। এর মধ্যে থাকা সেন্সর মানুষ প্রবেশ করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাবে। এর সামনে থেকে মানুষটি সরে গেলেই বন্ধ হয়ে যাবে। এ ডিভাইসে স্প্রেয়ারটি এমনভাবে স্প্রে করবে যাতে ভিজে যাওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। সহজে বহনযোগ্য এ ডিভাইসটিকে বিদ্যুৎ না থাকলেও ১২ ভোল্টের ব্যাটারি দিয়ে ব্যবহার করা সম্ভব।
ইতোমধ্যে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে কার্যকারিতা পরীক্ষা করা অটোমেটিক অ্যান্টি করোনা স্প্রেয়ার ৩৬০ ডিগ্রি রোটেশনে মাত্র ১০ সেকেন্ডেই পুরো শরীর জীবাণুমুক্ত করতে পারে।
তবে, অটোমেটিক অ্যান্টি করোনা স্প্রেয়ার ব্যবহার করার সময় বিশেষ সতর্কতার জন্য চোখ ও মুখ বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডিভাইসটির উদ্ভাবক রাদবী রেজা।
বাসা বা কর্মস্থলের প্রবেশদ্বারে ঝুলিয়ে বা কোন স্ট্যান্ডে রেখে ব্যবহার উপযোগী এ ডিভাইসটির মূল্য ৩ হাজার ৯৯৯ টাকা।